ইংল্যান্ডের হিথো বিমানবন্দরে একবার মহাবিপদে পড়েছিলাম | দুই কন্যা এবং স্ত্রীকে নিয়ে আমেরিকা থেকে দেশে ফিরছি। পাসপোর্ট যাতে নিরাপদে থাকে সেই জন্যে গুলতেকিনের হ্যান্ডব্যাগে রাখা আছে। (গুলতেকিন, আমার স্ত্রীর নাম । এই ভয়াবহ নাম তার দাদা রেখে গেছেন। বিয়ের পর বদলাতে চেয়েছিলাম, পারি নি)
লন্ডনে ছঘণ্টার যাত্রাবিরতি । আমি মহানন্দে সিগারেট টানছি। গুলতেকিন বলল, মুখের সামনে সিগারেট টানবে না তো। বমি আসছে । অন্য কোথাও গিয়ে সিগারেট শেষ করে আসো । আমি বিমর্ষ মুখে উঠে গেলাম । এদিক-ওদিক
ঘুরছি।
এই উদ্দেশ্যহীন ঘুরাই আমার কাল হলো। এক সময় দেখি- আমি এয়ারপোর্টের বাইরে। ভেতরে ঢুকতে গেলাম আরতো ঢুকতে পারি না, যতই বলি- আমি একজন ট্রানজিট প্যাসেঞ্জার ভুল করে বাইরে চলে এসেছি, ততই তাদের মুখ অন্ধকার হয়। আমাকে নিয়ে গেল পুলিশের কাছে, মৈনাক পর্বতের মতো সাইজ। কথা বলছে না তো মেঘ গর্জন করছে।
“তুমি বলছ, তুমি ট্রানজিট প্যাসেঞ্জার?”
আমি বিনয়ে গলে গেলাম | এই বিপদ থেকে উদ্ধারের একমাত্র উপায় হচ্ছে বিনয়। আমি মধুর গলায় বললাম, ইয়েস স্যার।
“দেখি তোমার পাসপোর্ট!”
“পাসপোর্ট আমার সঙ্গে নেই।”
“বিনা পাসপোর্টে তুমি সিকিউরিটি এলাকা অতিক্রম করে বের হলে কি করে?”
“আমি জানি না স্যার । হাটতে হাটতে কি করে যেন চলে এসেছি।”
“তোমার দেশ কোথায়?”
“বাংলাদেশ ।”
“ও আই সি।”
এমন ভাবে “ও আই সি” বলল যাতে মনে হতে পারে পৃথিবীর সব ভয়াবহ ক্রিমিনালদের জন্মভূমি হচ্ছে বাংলাদেশ। আমি গলায় মধুর পরিমাণ আরো বাড়িয়ে দিয়ে বললাম, আপনি যদি আমাকে ট্রানজিট এরিয়াতে নিয়ে যান তাহলেই আপনার সব সন্দেহের অবসান হবে। আমার স্ত্রী দুই মেয়ে নিয়ে সেখানে আছে। তার হ্যান্ডব্যাগে আমার পাসপোর্ট।
“এসো তুমি আমার সঙ্গে।”
আমি অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে রওনা হলাম। মনে হলো বিপদ কেটেছে। কিন্তু না বিপদ কাটবে কোথায়, বিপদের সবে শুরু। সে আমাকে ছোট একটা ঘরে ঢুকিয়ে বাইরে থেকে দরজা লাগিয়ে দিল। হতভম্ব হয়ে লক্ষ করলাম এটা একটা হাজত। ব্যাটা ফাজিল, আমাকে হাজতে ঢুকিয়ে দিয়েছে।
#MayFlowerHA ০২
লন্ডনে ছঘণ্টার যাত্রাবিরতি । আমি মহানন্দে সিগারেট টানছি। গুলতেকিন বলল, মুখের সামনে সিগারেট টানবে না তো। বমি আসছে । অন্য কোথাও গিয়ে সিগারেট শেষ করে আসো । আমি বিমর্ষ মুখে উঠে গেলাম । এদিক-ওদিক
ঘুরছি।
এই উদ্দেশ্যহীন ঘুরাই আমার কাল হলো। এক সময় দেখি- আমি এয়ারপোর্টের বাইরে। ভেতরে ঢুকতে গেলাম আরতো ঢুকতে পারি না, যতই বলি- আমি একজন ট্রানজিট প্যাসেঞ্জার ভুল করে বাইরে চলে এসেছি, ততই তাদের মুখ অন্ধকার হয়। আমাকে নিয়ে গেল পুলিশের কাছে, মৈনাক পর্বতের মতো সাইজ। কথা বলছে না তো মেঘ গর্জন করছে।
“তুমি বলছ, তুমি ট্রানজিট প্যাসেঞ্জার?”
আমি বিনয়ে গলে গেলাম | এই বিপদ থেকে উদ্ধারের একমাত্র উপায় হচ্ছে বিনয়। আমি মধুর গলায় বললাম, ইয়েস স্যার।
“দেখি তোমার পাসপোর্ট!”
“পাসপোর্ট আমার সঙ্গে নেই।”
“বিনা পাসপোর্টে তুমি সিকিউরিটি এলাকা অতিক্রম করে বের হলে কি করে?”
“আমি জানি না স্যার । হাটতে হাটতে কি করে যেন চলে এসেছি।”
“তোমার দেশ কোথায়?”
“বাংলাদেশ ।”
“ও আই সি।”
এমন ভাবে “ও আই সি” বলল যাতে মনে হতে পারে পৃথিবীর সব ভয়াবহ ক্রিমিনালদের জন্মভূমি হচ্ছে বাংলাদেশ। আমি গলায় মধুর পরিমাণ আরো বাড়িয়ে দিয়ে বললাম, আপনি যদি আমাকে ট্রানজিট এরিয়াতে নিয়ে যান তাহলেই আপনার সব সন্দেহের অবসান হবে। আমার স্ত্রী দুই মেয়ে নিয়ে সেখানে আছে। তার হ্যান্ডব্যাগে আমার পাসপোর্ট।
“এসো তুমি আমার সঙ্গে।”
আমি অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে রওনা হলাম। মনে হলো বিপদ কেটেছে। কিন্তু না বিপদ কাটবে কোথায়, বিপদের সবে শুরু। সে আমাকে ছোট একটা ঘরে ঢুকিয়ে বাইরে থেকে দরজা লাগিয়ে দিল। হতভম্ব হয়ে লক্ষ করলাম এটা একটা হাজত। ব্যাটা ফাজিল, আমাকে হাজতে ঢুকিয়ে দিয়েছে।
#MayFlowerHA ০২
No comments:
Post a Comment