আমাদের পাড়ায় এক বিহারি পরিবার থাকত। তাদের তিন মেয়ে। তিনটাই পরীর মতো সুন্দর। মেয়ে তিনটি কারো সঙ্গে মিশত না।বাড়ির ভেতর ঘুরঘুর করত। মায়ের কাজে সাহায্য করত। ঐ বাড়িতে আমার খুব যাতায়াত ছিল। তিন বোনের মধ্যে ছোট দুজনকেই আলাদাভাবে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছি। যতদূর মনে পড়ে তারা মাথা নেড়ে সম্মতি
দিয়েছে। বিয়ের প্রস্তাব দেয়ার ব্যাপারে আমার মধ্যে লজ্জা কখনো কাজ করে নি। আমি সরাসরি বলেছি, বড় হয়ে আমাকে বিয়ে করবে?
বিয়ের প্রতি আমার প্রবল আগ্রহ মহাজন সাহেবের বাড়ি। আমাদের বাড়ির কাছে এক ব্যবসায়ী ভদ্রলোকের বিশাল বাড়ি ছিল। সে বাড়িতে কিছুদিন পরপরই বিয়ের অনুষ্ঠান হতো। অতি জাঁকজমকেরর বিয়ে। পরিবারসুদ্ধ সেই বাড়িতে আমাদের দাওয়াত থাকত।আমি সারাদিনই সেই বাড়িতে পড়ে থাকতাম আর ভাবতাম কবে যে বড় হয়ে বিয়ে করব।
একদিনের কথা মনে আছে। ছুটির দিন,বাবার অফিস নেই, ঘরে বসে বই পড়ছেন। মা বাবার কাছে নালিশ করলেন, তোমার ছেলেকে শক্ত করে একটি চড় দাও।
বাবা বই থেকে চোখ না সরিয়েই বলল, তার অপরাধ কী?
মা বললেন, সে বিয়ে করতে চায়।
বাবা বললেন, বিয়ে করতে চায়, বিয়ে দাও। তার পছন্দের কোনো মেয়ে কী আছে?
মা কিছু বলার আগেই আমি চিকন গলায় বললাম, আছে।
বাবা শব্দ করে হেসে উঠলেন।
তিনি মাকে বললেন, আমি আমার এই ছেলেকে অল্প বয়সে বিয়ে দেব। আমার চোখের সামনে ছেলে বউ নিয়ে রান্নবাটি খেলবে। এই দৃশ্য দেখব। আমি দুইজনকে দুই কোলে নিয়ে বেড়াতে যাব।
বাবার এটা মুখের কথা ছিল না।তিনি তাঁর কর্মজীবনে যেখানেই কোনো রূপবতী মেয়ে দেখেছেন সঙ্গে সঙ্গে তাঁর বড় ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেবার কথা ভেবেছেন।
পরম করুণাময় আমার বাবার প্রতি তেমন করুণা করেন নি।তিনি তাঁর কোনো ছেলেমেয়ের বিয়ে দেখে যেতে পারেন নি। অন্য বাড়ির কোনো মেয়ে এসে তাঁকে মিষ্টি গলায় "বাবা" ডাকে নি। অন্য বাড়ির কোনো ছেলে তাঁর সামনে পুত্রসম এসে দাঁড়াবার সুযোগ পায় নি।আহারে!
দিয়েছে। বিয়ের প্রস্তাব দেয়ার ব্যাপারে আমার মধ্যে লজ্জা কখনো কাজ করে নি। আমি সরাসরি বলেছি, বড় হয়ে আমাকে বিয়ে করবে?
বিয়ের প্রতি আমার প্রবল আগ্রহ মহাজন সাহেবের বাড়ি। আমাদের বাড়ির কাছে এক ব্যবসায়ী ভদ্রলোকের বিশাল বাড়ি ছিল। সে বাড়িতে কিছুদিন পরপরই বিয়ের অনুষ্ঠান হতো। অতি জাঁকজমকেরর বিয়ে। পরিবারসুদ্ধ সেই বাড়িতে আমাদের দাওয়াত থাকত।আমি সারাদিনই সেই বাড়িতে পড়ে থাকতাম আর ভাবতাম কবে যে বড় হয়ে বিয়ে করব।
একদিনের কথা মনে আছে। ছুটির দিন,বাবার অফিস নেই, ঘরে বসে বই পড়ছেন। মা বাবার কাছে নালিশ করলেন, তোমার ছেলেকে শক্ত করে একটি চড় দাও।
বাবা বই থেকে চোখ না সরিয়েই বলল, তার অপরাধ কী?
মা বললেন, সে বিয়ে করতে চায়।
বাবা বললেন, বিয়ে করতে চায়, বিয়ে দাও। তার পছন্দের কোনো মেয়ে কী আছে?
মা কিছু বলার আগেই আমি চিকন গলায় বললাম, আছে।
বাবা শব্দ করে হেসে উঠলেন।
তিনি মাকে বললেন, আমি আমার এই ছেলেকে অল্প বয়সে বিয়ে দেব। আমার চোখের সামনে ছেলে বউ নিয়ে রান্নবাটি খেলবে। এই দৃশ্য দেখব। আমি দুইজনকে দুই কোলে নিয়ে বেড়াতে যাব।
বাবার এটা মুখের কথা ছিল না।তিনি তাঁর কর্মজীবনে যেখানেই কোনো রূপবতী মেয়ে দেখেছেন সঙ্গে সঙ্গে তাঁর বড় ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেবার কথা ভেবেছেন।
পরম করুণাময় আমার বাবার প্রতি তেমন করুণা করেন নি।তিনি তাঁর কোনো ছেলেমেয়ের বিয়ে দেখে যেতে পারেন নি। অন্য বাড়ির কোনো মেয়ে এসে তাঁকে মিষ্টি গলায় "বাবা" ডাকে নি। অন্য বাড়ির কোনো ছেলে তাঁর সামনে পুত্রসম এসে দাঁড়াবার সুযোগ পায় নি।আহারে!
No comments:
Post a Comment